নিয়ম-শৃঙ্খলা বিধি
ক) শিক্ষার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো সুশৃংখলভাবে ও সুপরিকল্পিত উপায়ে মানুষের বুদ্ধি- বৃত্তিক, মানসিক,ও আত্মিক বিকাশ ঘটানো। সুতরাং মানুষের দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক প্রতিভার যথার্থ স্ফুরণ ঘটানোর জন্য সার্বিক শৃঙ্খলা হচেছ একটি অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত । যে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা জাতি নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতি যত বেশি নিষ্ঠাবান সে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান জাতি তত বেশি উন্নত। আহসানিয়া মিশন কলেজ - এর লক্ষ্য হচ্ছে জাতিকে প্রতিনিয়ত শিক্ষিত, সুশৃংখল, দক্ষ, সৎ, ও নিষ্ঠাবান জনশক্তি উপহার দেয়া। এ ক্ষ্যৈ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কলেজের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে নিম্নলিখিত নিয়ম- শৃংখল, বিধি-বিধান নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
খ) পোশাক ও ব্যাজ প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীকে নেইম ব্যাজ ও কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে আসতে হবে ।
পোশাক |
গ্রীষ্মকালীন |
শীতকালীন |
খেলাধুলার পোশাক |
বালক |
সাদা হাফ শার্ট, নেভী ব্লু রঙ্গের ফুল প্যান্ট, কালো জুতা ও কালো মোজা |
সাদা ফুল শার্ট, নেভী রঙ্গের ফুল প্যান্ট, নীল টাই, নেভী ব্ল রঙ্গের ফুলহাতা সোয়েটার, কালো জুতা ও কালো মোজা |
সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট, পিটি সু ও সাদা মোজা |
বালিকা |
নীল কামিজ, সাদা সালোয়ার, সাদা স্কার্ফ, কালো জুতা, কালো মোজা |
নীল কামিজ, সাদা সালোয়ার, সাদা স্কার্ফ, নেভী ব্লু রঙ্গের ফুল হাতা কার্ডিগান, কালো জুতা, কালো মোজা |
নীল কামিজ, সাদা সালোয়ার, পিটি সু ও সাদা মোজা |
বিঃ দ্রঃ যে কোন কাজে কলেজে আসতে হলে অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীকে পোশাক পরিধান করে আসতে হবে ।
গ) পরিচয় পত্রঃ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে কলেজে কর্তৃক পরিচয়পত্র প্রদান করা হয় । তাদের অবশ্যই পরিচয় পত্র সাথে রাখতে হবে । পরিচয় হারিয়ে গেলে ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে তিন দিনের মধ্যে ডুপ্লিকেট পরিচয় পত্র সংগ্রহ করতে হবে ।
ঘ) অভিভাককের পরিচয় পত্রঃ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবককে বিভিন্ন সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য পরিচয়পত্র দেয়া হয় । পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করা হয় না । অভিভাবাকের পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে একই নিয়মে ডুপ্লিকেট পরিচয় পত্র সংগ্রহ করতে হবে ।
ঙ) অভিভাবকের সাক্ষাৎকারঃ ক্লাশ চলাকালীন সময়ে কোন অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দেখা করতে পারবে না ।
চ) ক্লাসে উপস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিতি অনুপস্থিত প্রতি বিষয়ে ন্যুনতম ৮০% আবশ্যক । বিনা অনুমতিতে কোন ছাত্র-ছাত্রী কøাসে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না । বিনা অনুমতিতে অনুপস্তিতির জন্য দৈনিক ৫ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে । কোন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে । অন্যাথায় কলেজের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছ) ছুটিঃ বিশেষ বিবেচ্য কারণে প্রকৃত অভিভাবকের আবেদনক্রমে শিক্ষর্থীকে ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে । তবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা গ্রগণযোগ্য হবে না
জ) শৃংখলা ও আচার-আচারণঃ একজন আদর্শ শিক্ষার্থীর পরিচয় কেবল তার উত্তম ফলাফলেই নয়, সামগ্রিক আচার-আচারণ ও নিয়ম শৃংখলা মেনে চলার উপরও নির্ভর করে । তাই ছাত্র-ছাত্রীদের নিন্মোক্ত শৃংখলা ও আচার-আচরণ মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
১. কলেজ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী তাদের জুনিয়ার/সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আপন ভাই-বোনের মত মনে করবে ।
২. ধূমপান ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
৩. কলেজের যাবতীয় সম্পদের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণে সার্কিক সহযোগিতা করবে । কোন ক্রমেই কলেজের সম্পদ বিনষ্ট বা ক্ষয় -ক্ষতি করা যাবে না।
৪. শ্রেণীকক্ষের দেয়াল, মেঝে, বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল এবং বারান্দা ও ক্যাম্পাস কোনরুপে অপরিচ্ছন্ন করা যাবেনা।
৫. কলেজে অথবা রাস্তায় কাউকে উত্তেজিত, হয়রানি করা কিংবা ঝগড়া - বিপদ করা অথরা কোথাও সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করা যাবেনা । কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করা যাবেনা ।
৬. কলেজে প্রদত্ত পোশাক পরিধান করে আসতে হবে ।
৭. কলেজে পালানো নিষিদ্ধ ।